ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবান ডায়াবেটিক হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা

oniyom durnitiবান্দরবান প্রতিনিধি ::

চরম অব্যবস্থাপনা, অর্থসংকট ও অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বান্দরবান ডায়াবেটিক হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। ফলে জেলাবাসীর কাঙিক্ষত এ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডায়াবেটিক রোগের সেবাবঞ্চিত হওয়ারও আংশকা বিরাজ করছে।

বান্দরবান ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. বাদশা মিয়া মাষ্টার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় দাতারাসহ সেনা রিজিয়ন, পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জেলা শহরের আর্মিপাড়ায় ৩নং সড়ক উপবিভাগের পাশে বিশাল ভবন নির্মিত হয়। ২০০৯ সাল থেকেই বান্দরবান ডায়াবেটিক হাসপাতালের সেবাপ্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবন ও দোতলা ভবনের কাজও শেষ পর্যায়ে সম্প্রসারিত ভবনে চালু হবে হাসপাতাল।

জানা যায়, জেলা ডায়াবেটিক সমিতির ব্যবস্থাপনায় এ হাসপাতালটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১৩১৫ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের জন্য পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির মেয়াদকাল শেষ হয়ে যায় গত ডিসেম্বর মাসেই। পরবর্তীতে এখনও পর্যন্ত কমিটির নির্বাচন হয়নি এবং কোন সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। দেখভাল নেই কমিটির শীর্ষ নেতাদের। হাসপাতালে বিরাজ করছে তহবিল সংকট, নেই কমিটির সভা ও পরিদর্শন কার্যক্রম। অর্থের যোগান নেই, রোগীদের হাসপাতালমুখি করতে কোন প্রচারণাও নেই। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেই প্রাইভেট সেক্টরে গিয়েই রোগ নির্ণয় ও সেবাগ্রহণ করছেন। আধুনিক হাসপাতালের যাবতীয় সুবিধা রয়েছে এ ডায়াবেটিক হাসপাতালে। রয়েছেন একজন ডাক্তার, ২ জন প্যাথলজিষ্ট ও ২ জন কর্মচারী। অর্থসংকটের কারণে দুইমাস ধরে ডাক্তারের বেতন বন্ধ, তবে কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয়েছে কোন মতে।

এসব থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের পরিচালানা কমিটি তথা জেলা ডায়াবেটিক সমিতির দায়িত্বে চরম উদাসীনতা এবং অবহেলায় ডায়াবেটিক হাসপাতালের শোচনীয় দশা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে বান্দরবান ডায়াবেটিক হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোদমে বন্ধ হয়ে যেতে পারে নানামুখি সমস্যার কারণে। হাসপাতালটিকে সচল ও গণমুখি করে তোলার লক্ষ্যে পরিচালনা কমিটি ও জেলার সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে আসতে হবে, অন্যথায় এই সেবা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে বসতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞজনরা।

 

পাঠকের মতামত: